https://youtu.be/yOkejgSdU6E
পটুয়াখালীতে ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে র্যা লী, আলোচনা সভা ও দোয়া মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সকাল ৯.৩০ মিনিটের সময় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং ওয়ায়েজিয়া কামিল মাদরাসা উদ্যোগে র্যা লী শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে গিয়ে র্যা লীটি শেষ হয়।
পরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন পটুয়াখালীর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ হুমায়ুন কবির। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ কাজী আলমগীর, জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি বড় জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ আবু সাঈদ, সাধারন সম্পাদক মুসলিমপাড়া জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা আব্দুল কাদের।
পরে দিবসের তাৎপর্য বিষয় রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা।
প্রকাশ, ৫৭০ সালের ১২ রবিউল আউয়াল মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর শুভ আর্বিভাবের দিন। এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ-ই- মিলাদুন্নবী (সাঃ) নামে পরিচিত। ৫৭০ সালের এই দিনে আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ গোত্রে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। এ সময় গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্ম ও পাপাচারে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল।
আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াত। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং করত মূর্তিপূজা। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআালা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে প্রেরন করেন এই ধরাধামে। মহানবী (সাঃ) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। ২৫ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজা নামের এক ধর্ণাঢ্য মহিলার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত প্রাপ্ত হন এবং আল্লাহতায়ালার নৈকট্য লাভ করেন। পবিত্র কোরআান শরীফে বর্ণিত আছে, মহানবী (সাঃ) কেঁ সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না। এসব কারনে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশী। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে। ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি চরপাড়াস্থ পটুয়াখালী ওয়ায়েজিয়া কামিল মাদরাসা সকাল ৮ টায় মাদরাসা থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যা লী শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে সার্কিট হাউজে প্রশাসনের আয়োজিত র্যা লীতে অংশগ্রহন করেন।
এ সময় র্যা লীতে মাদরাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ(বড় হুজুর) আলহাজ্ব শাহ মাওলানা মোঃ নিজামুল হক, উপাধ্যক্ষ মাওঃ মোহাম্মদ জাকির হোসাইন, প্রধান মুহাদ্দিস মাওলানা মোঃ আলমগীর হোসাইন, প্রভাষক (আরবী) মাওলানা আশ্রাফ আলী, টেংরাখালী দরবার শরীফের ছাহেবজাদা শাহ মোঃ মাজহারুল হক ছায়েমসহ শিক্ষক কর্মকর্তাবৃন্দ। পরে মাদরাসায় দোয়া মিলাদে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন আলহাজ্ব শাহ মাওলানা মোঃ নিজামুল হক।